মহিষাসুর যখন তপস্যা দ্বারা ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করেছিলেন তখন ব্রহ্মা তাকে বর দিতে চাইলেন।মহিষাসুর ব্রহ্মার কথা শুনে অমরত্ব চাইলেন।ব্রহ্মা জানালেন তিনি অমরত্ব ব্যতীত সকল বর দিতে পারেন।তখন মহিষাসুর প্রার্থনা করলেন ঠিক আছে প্রভু আমাকে এমন বর দেন যাতে ত্রিভুবনে কোন দেব দানব ও অসুরকূল আমাকে সংহার করতে না পারে। ব্রহ্মা তখন তদাস্তু বলে চলে গেলেন ।ব্রহ্মার এই কথা শুনে মহিষাসুর অন্যায়ভাবে স্বর্গ নরক মর্ত্য সকল স্থান জয় করা শুরু করলেন।অত্যাচারী মহিষাসুর বুদ্ধি ভ্রম হয়ে দেবী জাতিকে পর্যন্ত অবজ্ঞা করা শুরু করলেন। পরমেশ্বর শ্রীবিষ্ণু দেবী শক্তিকে কখন অবজ্ঞা করেন না।তাই পরমেশ্বর শ্রীবিষ্ণু মহিষাসুরকে দেওয়া ব্রহ্মার প্রদত্ত বর ঠিক রেখে দেবতাদের নিয়ে পরমেশ্বর বিষ্ণু ও অন্যান্য দেব শক্তির প্রভাবে এক নারী শক্তির সৃষ্টি করলেন। যেখানে সকল বর্ণ ও নারী শক্তির হুঙ্কার ও অস্ত্রের ব্যবহারে মহিষাসুর বধ হয়।ধ্বংস হয় তার দম্ভ আর দেবী শক্তির অবজ্ঞা। অর্থাৎ ৪বর্ণের ৮হাত ও নারী শক্তির ২হাত মোট ১০হাত দিয়ে মা দূর্গা সমাজের সকল অত্যাচার দূর করার নির্দেশ দিচ্ছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Comment " কেন মা দূর্গা দশ হাতের অধিকারী হলেন ?"
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.