বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হলেন ভগবান রাম। অযোধ্যার সূর্যবংশীয় রাজা দশরথ ও রানি কৌশল্যার ছেলে রাম। কৈকেয়ী ও মন্থরার ষড়যন্ত্রে রামের বনবাস হলেও ফিরে এসে অযোধ্যার সিংহাসনে বসেন রাম। সামলান রাজ্যপাট। যদিও প্রজাদের মনরক্ষায় সীতাকে 'বিসর্জন' দেন রাম। লব ও কুশ, দুই ছেলেকে নিয়ে আশ্রমেই দিন কাটে সীতার। পরে রাজ দরবারে রাম তাঁকে ফের অগ্নিপরীক্ষা দিতে বললে ধরিত্রীর বুকে আশ্রয় নেন পত্নী সীতা। রামায়ণের এতটুকু কমবেশি আমাদের সবারই জানা। কিন্তু তারপর? তারপর ভগবান রামের কী হল?
শোনা যায়, পৃথিবীর বুকে তাঁর সময় যে ফুরিয়ে এসেছে, তাঁকে বৈকুণ্ঠে ফিরতে হবে, সেকথা ভগবান রামকে একদিন মনে করিয়ে দেন সময়ের দেবতা। মুনি-ঋষিরা বলেন, সময়ের দেবতা কালা দেব একদিন রামের সঙ্গে একান্তে দেখা করতে চান। আর সেই সময়ই আসেন মুনি দুর্বাশা। রামের সঙ্গে দেখা করতে বাধা পেলে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন তিনি। আর এরপরই নিজেকে সরযূর বুকে 'বিসর্জন' দেন লক্ষ্মণ। ভাই লক্ষ্মণ আসলে ছিলেন ষেষার রূপ। ভাইয়ের পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সরযূ নদীতে নিজেকে 'বিসর্জন' দেন ভগবান রামও।
তবে সরযূতে রামের 'আত্মবিসর্জন' নিয়ে কথিত রয়েছে আরও একটি গল্প। বলা হয়, যম নাকি হনুমানের ভয়ে অযোধ্যায় ঢুকতে ভয় পাচ্ছিলেন। সেকথা জানতে পারেন রাম। আর তখনই নিজের আংটি হারিয়ে যাওয়ার অছিলায় হনুমানকে পাতালে নাগরাজ্যে পাঠিয়ে দেন রাম। কিন্তু, পাতালে গিয়ে হনুমান অনেক আংটির মাঝে কোনটা রামের, তা চিনতে পারেন না। এরই মাঝে হনুমানের অনুপস্থিতির সুযোগে সরযূতে নিজেকে বিসর্জন দেন রাম। এদিকে পাতালে তখন নাগরাজ বাসুকী হনুমানকে জন্ম-মৃত্যুর ইতিবৃত্ত বোঝাতে ব্যস্ত। হনুমান বুঝতে পারেন, রাম মর্ত্য ছেড়ে চলে গেছেন।
sundor post
ReplyDeleteঅসাধারণ.
ReplyDeleteসনাতন ধর্ম অনুসারে ঈশ্বরের নিরাকার উপাসনার কোন বিধান আছে কিনা বেদ পুরান উপনিষদ গীতা মধ্যে থেকে রেফারেন্স সহ
ReplyDeleteসনাতন ধর্মের নতুন নতুন কীর্ত্তন এবং হারিয়ে যাওয়া বৈঠকি বাউল এবং সকল প্রকার ধর্মীয় গান পেতে আমাদের চ্যানেল ভিজিট করুন
ReplyDeletehttps://www.youtube.com/channel/UC7GQnJvCas3Qr00w8U7Ya8g
পশু বলি সম্পকে বেদ কি বলে জানতে চাই
ReplyDelete